যা খেলে অকালে চুল পাকা থামাতে পারবেন
তরুণ বয়সেও অনেকের মাথাভর্তি পাকা চুল দেখা যায় প্রায়ই। এটা নিয়ে বিড়ম্বনার কমতি নেই। মনঃকষ্টেও ভোগেন অনেকে। অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যার সমাধান করতে পারে প্রতিদিনকার খাবার।
চুল কেন পাকে
সাধারণত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলে পাক ধরতে শুরু করে। তবে সেটা তরুণ বয়সে নয়, বরং ৪০ পার হওয়ার পর। আমাদের শরীরে ত্বকের রং নির্ধারণ করে যে পিগমেন্ট সেল, তা থেকে মেলানিন নামের একধরনের রঞ্জক কণিকা উৎপাদিত হয়। এই মেলানিনের কারণেই চুলের রং কালো হয়। শরীরে যখন মেলানিনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখন থেকেই চুল পাকতে শুরু করে। চুল পাকার মূল কারণ এই মেলানিনের অভাব। এ ছাড়া দুশ্চিন্তা, রাতজাগা, ভিটামিনের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে চুল পাকতে শুরু করে।
সমাধান কী
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান হতে পারে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ। শরীরে মেলানিনের উৎপাদন বাড়াতে কিংবা ভিটামিনের অভাব কমাতে বড় প্রভাব রাখবে যেসব খাবার, তা জেনে নেওয়া যাক এখানে।
শাক
শাকে আছে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড, যা শরীরে মেলানিনের অভাব দূর করে। নিয়মিত শাক, মেথি, মটরশুঁটি চুল পাকতে বাধা দেয়।
ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে আছে প্রচুর পরিমাণ বি১২ ভিটামিন। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন বি১২। অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চুল পাকা রোধে ডিমের কুসুম হতে পারে ভালো সমাধান।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধের তৈরি যেকোনো খাবার, যেমন ছানা, পায়েস কিংবা এক গ্লাস খাঁটি দুধ কমিয়ে দিতে পারে আপনার চুল পাকার আশঙ্কা। দুধে থাকা ভিটামিনগুলো চুল যেমন শক্ত করে, তেমনি পাকার হাত থেকে সুরক্ষাও দেয়।
জিংকসমৃদ্ধ খাবার
প্রকৃতিতে পাওয়া জিংকসমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিষয় করে কুমড়া, তরমুজ–জাতীয় খাবারে প্রচুর জিংক থাকে। চুল কালো রাখতে বেশ উপকারী জিংকসমৃদ্ধ খাবার।
কপারসমৃদ্ধ খাবার
সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছ, তিল, গম, গরু ও খাসির মাংসে আছে প্রচুর পরিমাণে কপার। এই কপার শরীরের মেলানিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই অকালে চুল পাকা রোধ করতে কপারসমৃদ্ধ খাবার খান।
দুশ্চিন্তা কম করুন
অসময়ে চুল পাকার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে দুশ্চিন্তা। তাই চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার। বাড়তি চাপ যতটা এড়ানো যায়, ততই মঙ্গল। মনে রাখবেন, যত বেশি চাপ নেবেন, তত বাড়বে চুল পাকার আশঙ্কা।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস